আল্লাহর ইবাদতে নিয়মিত ও অবিচল থাকুন রমজানের ১২তম দিবাগত রাতে এশার পর নবম দিনের তারাবিহ নামাজে আমাদের দেশের মসজিদে কোরআনের ১৬তম আয়াত তেলাওয়াত হবে।
এই অনুচ্ছেদে সূরা কাহাফের 75 নং আয়াত থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ সূরা মরিয়ম এবং সূরা তাহার শুরু থেকে 135 নং আয়াত পর্যন্ত রয়েছে।
পবিত্র কুরআনের এই অংশে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও নির্দেশনা রয়েছে:
আল্লাহর ইবাদতে নিয়মিত ও অবিচল থাকুন
1. এক আল্লাহর ইবাদত করা এবং তাঁর উপাসনায় দৃঢ় ও অবিচল থাকা মুসলমান হিসেবে আমাদের কর্তব্য।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, তিনি নভোমন্ডল, যমীন এবং এর মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা; সুতরাং আপনি তার ইবাদতে নিয়মিত
এবং দৃঢ়; আপনি কি তার সমকক্ষ আর কাউকে জানেন? (সূরা মরিয়ম : ৬৫)
2. মৃদু ও সুন্দর ভাষায় দ্বীনের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া আল্লাহর দ্বীনের প্রচারকদের দায়িত্ব।
আল্লাহ তায়ালা হযরত মুসা (আঃ) ও হারুন (আঃ) কে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার সময় ফেরাউনের সাথে নম্রভাবে কথা বলার নির্দেশ দেন।
আল্লাহ তায়ালা সেই আদেশ বর্ণনা করে বলেন, তোমরা উভয়ে ফেরাউনের কাছে যাও, সে সীমালঙ্ঘন করেছে।
আপনি তার সাথে ভদ্রভাবে কথা বলুন, হয়তো তিনি উপদেশ গ্রহণ করবেন, অথবা ভয় পাবেন। (সূরা ত্বহাঃ ৪২-৪৪)
3. নামাজ ইসলামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফরজ কাজ।
নামাজ পড়ার পাশাপাশি পরিবারের সদস্য ও সন্তানদেরও নামাজ পড়ার নির্দেশ দেন।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “মৃত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারবর্গকে নামাযের নির্দেশ দাও এবং তাতে অবিচল থাকো।
” আমি তোমার কাছে রিজিক চাই না, আমিই তোমাকে রিজিক দিই, উত্তম পরিণাম ধার্মিকদের জন্য সংরক্ষিত। (সূরা ত্বহা: 132)
4. আল্লাহ প্রদত্ত হালাল ও পবিত্র রিজিক থেকে কোনো প্রকার সীমা লঙ্ঘন না করে অর্থাৎ হালাল সীমার বাইরে না গিয়ে আহার করুন।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তোমরা আমার দেওয়া উত্তম রিজিক আহার কর এবং তাতে সীমালঙ্ঘন করো না,
অন্যথায় আমার আযাব তোমাদের উপর পতিত হবে এবং যার উপর আমার শাস্তি হবে সে ধ্বংস হয়ে যাবে। (সূরা ত্বহা: 81)
আরও পড়ুনঃ-