বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় ভ্রমণের স্থান হচ্ছে সাজেক ভ্যালি যেটা রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 1800 ফিট উচ্চতায় এটির অবস্থান যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ থাকার কারণে আপনাকে খাগড়াছড়ি হয়ে যেতে হবে মানসিক চাপ কমাতে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য প্রতি বছর অসংখ্য লোক সাজেকে ঘুরতে আসে চারিদিকে দেখতে পারবেন অপরূপ সুন্দর বিস্তীর্ণ পাহাড় সারি এবং তুলার মতো মেঘের আবির্ভাব সকাল বিকাল বিভিন্ন সময় দেখতে পারবেন প্রকৃতির বিভিন্ন রূপ তাই ভ্রমণের জন্য জনপ্রিয় জায়গা এটি একটি আপনারা যারা সাজেকে ভ্রমণ করতে চান তার বিস্তারিত নিচে আর্টিকেলে আলোচনা করা হলো
সাজেক ভ্যালিতে কি কি দেখতে পারবেন
আপনি যদি প্রকৃতিপ্রেমী হন তাহলে আপনার কাছে পুরো সাজেক ভ্যালিটি অপরূপ সুন্দর দর্শনীয় মনে হবে।
তবে তার মধ্যে বলা হয় পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও পছন্দের একটি স্থান হলো কংলাক পাহাড় এছাড়াও আরো স্থান আছে যেমন রক গার্ডেন, রুইলুই পাহাড়, লুসাই ভিলেজ উল্লেখযোগ্য। সাজেকের সবচেয়ে উঁচু স্থান হল কংলাক। কমলাক পাহাড়ের চূড়া থেকে পুরো সাথে ভ্যালিটি আপনি এক নজরেই দেখতে পারবেন। ভাগ্য যদি ভালো থাকে তাহলে আপনি আকাশে রংধনুর দেখা পেতে পারেন।
কংলাক পাহাড় ভ্রমণের সবচেয়ে আদর্শ একটি সময় হল বিকাল বেলা এ সময় আপনি চাইলে কংলাকের চূড়ায় গিয়ে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখতে পারবেন ।
এটি আপনার জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকবে।
সাজেকের নিচে একটি ঝর্ণা রয়েছে যেটি প্রচলিত ভাষায় কমলক নামে পরিচিত। এটির মূল্যায়ন সিকাম তৈসা বা পিদাম তৈসা।
রুইলুক পাহাড় থেকে ট্রাকিং এর মাধ্যমে যদি যেতে চান তাহলে যাতায়াত করতে ৪ ঘন্টা মত সময় লাগবে।
সূর্যাস্তের পরে ও সাজেকের রূপ বদলানো থামে না। সন্ধ্যের পরপরই আকাশে বিভিন্ন তাড়ানো নক্ষত্রে দেখা পাবেন রাত যত গভীর হবে সাজেকের সৌন্দর্যের রূপ তত বৃদ্ধি পাবে।
দূষণমুক্ত সুন্দর খোলাময় স্থান সাজে খুবই মনোরম পরিবেশ ভৌগলিক কারণে এখানে প্রতিদিন রাতে তারা নক্ষত্রের দেখা মিলে অপরূপ সুন্দর্যের সৃষ্টি হয়।
জোছনার রাতে প্রকৃতি আরো হয়ে ওঠে মনোমুগ্ধকর। রাতের মনোমুগ্ধকর আকাশ দেখতে চাইলে চমৎকার একটি জায়গা হল সাজেকের হেলিপ্যাড।
সাজেকের মেঘ দেখার সঠিক সময় হচ্ছে ভোরবেলা। সারারাত জেগে যদি আপনি ভোরে সময়টা মিস করে ফেলেন তাহলে আপনি অনেক কিছু মিস করে ফেলবেন।
ভোর পাঁচটা থেকে সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সবচেয়ে ফ্রেশ ঘন মেঘ দেখা যায় দেখে মনে হবে যে আপনি হাতটি বাড়ানোর সাথে সাথে মেয়েটি স্পর্শ করতে পারবেন।
মেঘের গায়ে যখন সূর্যের আলো পড়তে শুরু করবে তখন দেখতে পারবেন প্রকৃতির মনমুগ্ধকর একটি দৃশ্য। এ সময় প্রতি ১০ মিনিটে প্রকৃতির রং বদলানো দেখতে পারবেন।
তাই এদিকে খেয়াল রাখবেন সূর্যদয় যেন মিস না হয়। শুধু মেঘের কোলে সূর্যোদয় দেখার জন্য সাজেক ভ্যালি আসা যায়।
সাজেক থেকে ফেরার সময় আপনার যাত্রা পথেই পড়বে হাজাছড়া ঝর্ণা । সুযোগ থাকলে ডুব মেরে আসতে ভুলবেন না।
সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
সত্যি কথা বলতে প্রতিটি মৌসুমে সাজেক ভ্যালির আপনি নতুন নতুন রূপ দেখতে পারবেন। শীতের সময় এক রকম বর্ষার সময় অন্যরকম।
তাই এমন পিপাসি টুরিস্টরা প্রতি বছরই ছুটে যায় সাজেকে।
তবে বর্ষার শুরু থেকে শীতের শুরু পর্যন্ত অর্থাৎ মে মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রকৃতি সতেজ থাকে এই সময় সাজেক আরো বেশি সুন্দর হয়ে থাকে।
তখন সারাদিন মেঘ ভেসে বেড়াই এখানে ওখানে। যখন তখন মেঘ এসে আপনাকে ঢেকে দিতে পারে।
সাজেক ভ্যালি যাওয়ার উপায়
সাজেক ভ্যালি রাঙ্গামাটি জেলায় কিন্তু রাঙ্গামাটি জেলায় হওয়া সত্বেও খাগড়াছড়ি থেকে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক সহজ।
তাই এ কারণে দেশে যে কোন প্রান্ত থেকে আপনাকে খাগড়াছড়ি ।
ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির প্রধান বাস শান্তি পরিবহন। এছাড়াও সৌদিয়া, হানিফ, ঈগল, ডলফিন আরো ইত্যাদি পরিবহনের বাস আছে যেখান থেকে সহজেই খাগড়াছড়ি যাইতে পারবেন।
নন এসি বাস পরিবহন গুলার ভাড়া ৫২০ টাকা। এসি বাসের মধ্যে রয়েছে হানিফ, শান্তি, ঈগল ও সেন্ট মার্টিন পরিবহনের বাস।
এসি বাস গুলির ভাড়া .৯৫০ থেকে ১২৫০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ঢাকার গাবতলী, কলাবাগান, ফকিরাপুল ও আরামবাগ থেকে এ সকল বাস ছাড়ে।
সরকারি ছুটির দিন বা বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার যেতে চাইলে আগে থেকে টিকিট কেটে রাখা ভালো তাহলে ঝামেলা থেকে বাঁচা যায়।
বাস থেকে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ খরচ শুরু হবে।
খাগড়াছড়ি থেকে জিপে করে সাজেক ভ্যালি
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক ভ্যালি যাওয়ার সময় কোন লোকাল গাড়ি বা শেয়ার্ড জিপ নাই। তাই আপনাকে গাড়ি রিজার্ভ করতে হবে।
এক্ষেত্রে চান্দের গাড়ি বা মহেন্দ্র জিপ প্রধান বাহন। আপডাউন রিজার্ভ জিপ ভাড়া পড়বে 8 থেকে 10 হাজার টাকা।
এক গাড়িতে সর্বোচ্চ ১২ জন বসার পারমিশন আছে।
আপনার টিমে সদস্য সংখ্যা কম থাকলে অন্যদের সাথে জিপ শেয়ার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে খরচ কম হবে। যদি শেয়ার করার মতো কাউকে না পান সেক্ষেত্রে সিএনজি নিতে পারেন সিএনজি ভাড়া পড়বে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার মতো।
তবে সম্ভব হলে সিএনজিতে না যাওয়াই ভালো সিএনজিতে করে সাজেক পৌঁছাতে অনেক সময় ছয় ঘন্টারও বেশি সময় লেগে যায়। সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের খরচের মধ্যেও অন্যতম একটি খরচ হচ্ছে জিপ খরচ।
খাগড়াছড়ি জিপ সমিতির ভাড়ার নির্ধারিত তালিকা
আপনি যদি একা বা দুই তিন জন হন তাহলে চেষ্টা করবেন অন্য কোন গ্রুপের সাথে জয়েন হতে। নিজে কোন গ্রুপ ম্যানেজ করতে না পারলে জীব সমিতির অফিসে গিয়ে বললেই হবে তারাই আপনাকে অন্য কোন গ্রুপের সাথে জয়েন করিয়ে দিতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবে।
আপনি খাগড়াছড়ি থেকে মোটরসাইকেল রিজার্ভ করেও সাজেক ভ্যালি যেতে পারেন। এক্ষেত্রে আগে থেকেই দরদাম করে নিবেন আপনি যে বাহনে রিজার্ভ করেন না কেন আগে থেকেই বলে নিবেন কোন কোন স্পট আপনি দেখতে চান।
এছাড়াও আপনি ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে দীঘিনালার বাসে ওঠেন তাহলে দীঘিনালা থেকেও আপনি সাজেকের জিপ পাবেন। খাগড়াছড়ি থেকে বাসে উঠলেও সেটির দীঘিনালা হয়ে যাবে খাগড়াছড়ি থেকে জিপে করে সাজেক যেতে তিন ঘন্টা মতন সময় লাগে।
দীঘিনালার আর্মি ক্যাম্প থেকে আর্মি স্কট দিয়ে প্রত্যেকটা গাড়ি সাজেকে নিয়ে যায়। সকাল ৯ টা ৩০ মিনিট ও দুপুর ২:৩০ মিনিটে স্কট ছারে অর্থাৎ সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে আপনি উপস্থিত না থাকতে পারলেও দুপুর ২:৩০ মিনিটে স্কটে করে সাজেক যেতে পারবেন।
দুপুর ২:৩০ মিনিটে যদি আপনি উপস্থিত থাকতে না পারেন তাহলে ওই দিন আপনি সাজেক যেতে পারবেন না। পরের দিনের জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।
আর মিস করা বাদে একা কোনো গাড়ি সাজে যাওয়ার পারমিশন নেই। আবার একা কোন জিপ গাড়ি বা সিএনজি করে যেতে হলে আপনাকে বেশি খরচ বহন করতে হবে।
সাজেক যাওয়ার পথে আঁকাবাঁকা পথের সৌন্দর্যের বর্ণনা দেওয়া অসম্ভব। রাস্তার প্রতিটি বাঁকে আপনাকে নতুন নতুন সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে। যাওয়ার পথে জিপের এই সৌন্দর্য আপনার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে অনেকদিন।
যতক্ষণে আপনি সাজে গিয়ে পৌঁছাবেন তার আগেই প্রকৃতি এবং প্রকৃতির মনোরম পরিবেশ আপনার ক্লান্তি দূর করে দিবে।
চট্টগ্রাম থেকে সাজেক ভ্রমণ
চট্টগ্রামের কদমতলী থেকে বিআরটিসি’র এসি বাস ছাড়ে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে। দিনে অবশ্য মাত্র চারটি বাস ছারে।
ভাড়া লোক প্রতি ২০০ টাকা করে।এছাড়াও অক্সিজেন মোড় থেকে এক ঘন্টা পর পর শান্তি পরিবহনের একটি করে বাস আসে ভাড়া ১৯০ টাকা।
চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি যেতে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা মতো সময় লাগে।
রাঙ্গামাটি থেকে সাজেক ভ্রমণ
রাঙ্গামাটি থেকে সাজেক ভ্রমণের জন্য সড়ক ও নৌপথের আলাদা রুট রয়েছে। রিজার্ভ বাজার লঞ্চ ঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে দশটার মধ্যে বাঘাইছড়ির লঞ্চ ছাড়ে। ভাড়ার জনপ্রতি ২০০ টাকা করে এবং যেতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা।
বাঘাইছড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে সাজেক যাওয়া যায় আসা যাওয়া জনপ্রতী ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। এ পথে আপনাকে সাজেক ভ্যালি যেতে খরচ বেশি হবে এবং সময়ও বেশি লাগবে।
সাজেকে থাকার রিসোর্ট
সাজেকে থাকার মত ছোট বড় মিডিয়াম হাই লো উভয় কোয়ালিটির একশোর মত রিসোর্ট রয়েছে ।
এখানে জন প্রতি ৩০০ টাকা করে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রিসোর্ট রয়েছে।
শুক্রবার বা সরকারি ছুটিতে যেতে চাইলে কমপক্ষে 15 থেকে 20 দিন আগে রিসোর্ট বুকিং দিয়ে রাখতে হবে যাতে করে
রিসোর্ট বুকিং এর ক্ষেত্রে কোন প্রকার সমস্যা না হয়। না হলে ভালো কোন রিসোর্ট রুম পাওয়া যায় না সাধারণত ।
রিসোর্ট বাসা বাছার সময় রিসোর্ট এর কোয়ালিটি ও অবস্থানকে প্রাধান্য দিবেন। ভিউ খুব একটা ইম্পোর্টেন্ট না।
কারণ সব রিসোর্ট থেকে কম বেশি ভিউ পাওয়া যায় রিসোর্ট থেকে বাইরে বার হলে ভিউ তো রয়েছেই।
রিসোর্টের অবস্থান একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিছু রিসোর্ট আছে সাজেকের বাইরে ।
আবার কিছু রিসোর্ট এমন জায়গায় রয়েছে যেখান থেকে মুল পয়েন্টে আসতে অনেক বেশি সময় নষ্ট হয়।
কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় রিসটের ভিউ অনেক ভালো কিন্তু ইন্টেরিয়র এবং ওয়াশরুমের অবস্থা খুবই খারাপ।
এ কারণে রিসোর্ট বাঁচার সময় ইন্টরিয়র কোয়ালিটি ও লোকেশন এর প্রতি প্রাধান্য দিন ।
সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ খরচ কিছুটা বাড়লেও রিসোর্ট এর ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজ করা উত্তম।
সাজেকে উল্লেখযোগ্য কিছু রিসোর্ট ও কটেজের ফোন নাম্বার
রিসার্চ রুনরাংঃ- সাজেকের বেস্ট রিসোর্ট গুলোর মধ্যে একটি রিসোর্ট হচ্ছে রিসোর্ট রুনরাং।
মিশরের বারান্দা থেকে দূর দূরান্তে পাহাড়শরী ও তুলের মত মেঘ দেখতে পাবেন।
এর অবস্থান আর্মি রিসটের উল্টোপাশে। এই রিসোর্ট এর ইন্টরিয়র ও ওয়াশরুম সাজেকের অন্য রিসোর্ট থেকে অন্যতম সেরা।
রিসোর্ট এর সিঙ্গেল কাপল ডবল সবমিলিয়ে আটটি রুম আছে। শুক্রবারে রুম ভাড়া পড়বে ২৫০০ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত।
অন্য দিন দুই হাজার থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে রুম পাওয়া যায়।রুনরাং বুকিং নাম্বার ০১৮৬৯৬৪৯৮১৭, ০১৬৩২৬৯৮১৫৮, ফেসবুক পেজঃ Resort RungRang
সাজেক রিসোর্ট: এই রিসোর্ট টি বাংলাদেশ আর্মি প্রচারিত রুম ভেদে এসিও নন এসি রুমের ভাড়া পড়বে
১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মত।
সাজেক রিসোর্ট রয়েছে নিজস্ব রেস্টুরেন্ট। সেনাবাহিনী বা প্রথম সারির কর্মকর্তাদের জন্য ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা রয়েছে।
রুম বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করুন মোবাইল নম্বর ০১৮৫৯০২৫৬৯৪, ০১৮৪৭০৭০৩৯৫, অথবা ০১৭৬৯৩০২৩৭০ নাম্বারে যোগাযোগ করুন
রুন্ময় রিসোর্টঃ এই রিসোর্টে মোট পাঁচটি রুম আছে প্রতিটি রুমে সর্বোচ্চ দুইজন করে থাকার জায়গা আছে
৬০০ টাকা বাড়তি দিলে রুমে এক্সট্রা বেডের ব্যবস্থা করা হয়।
নিচতলা রুমের ভাড়া ৪ হাজার ৪৫০ টাকা, উপরে তলার রুমের ভাড়া চার হাজার 950 টাকা
বুকিং এর জন্য ফোন করুন ০১৮৬৫৪৭৬৮৮ এই নম্বরে
মেঘ মাচাংঃ- ব্র্যান্ডিং বিবেচনার মধ্যে একটি অন্যতম রিসোর্ট হচ্ছে মেঘ মাচাং এর ভিউ সাজেকের অন্যতম সেরা
এখান থেকে খুব ভালোভাবে ভিউ উপভোগ করতে পারবেন। এখানে পাঁচটি রুম আছে ভাড়া
২৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকার মধ্যে যোগাযোগ নাম্বার ০১৮২২১৬৮৮৭৭
মেঘপুঞ্জি রিসোর্টঃ সাজেকের অন্যতম দৃষ্টি নন্দন রিসোর্ট এর ভেতর রয়েছে চারটি রুম ভাড়া পড়বে
দুই থেকে তিন হাজার টাকা বুকিং করার জন্য এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন ০১৮৮৪২০৮০৬০
জুমঘর রিসোর্টঃ সাদিকের আরেকটি সুন্দরতম রিসোর্ট হলো জুম ঘর রিসোর্ট এখানে থাকার জন্য ভাড়া পড়বে
দুই থেকে তিন হাজার টাকা বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করুন এই নম্বরে ০১৮৮৪২০৮০৬০
কম খরচের কিছু রিসোর্ট
কম খরচে রিচার্জগুলো আপনাকে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ খরচ কমাতে সাহায্য করবে।
যারা বাজেট ফ্রেন্ড হিসেবে ভ্রমণ করতে চান তারা এই রিসোর্টগুলি দেখতে পারেন
আলো রিসোর্টঃ কম খরচের মধ্যে থাকার জন্য এটি একটি ভালো রিসোর্ট। এখানে কোন ভিউ নাই এই রিসোর্টে আটটি রুম আছে
ভাড়া পড়বে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা মত বুকিং দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই নাম্বারে 01841000645
লুসাই কটেজঃ সিঙ্গেল কাপল সব রকমের রুম আছে এই রিসোর্টে সাদামাটা ভালো একটি রিসোর্ট
ভাড়া পড়বে ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরে ০১৬৩৫১৯৮০০৫
মেঘের ঘর রিসোর্টঃ এটিও কোন খরচে থাকার জন্য একটি ভালো রিসোর্ট এখানে রুম আছে আটটি এখানে রুম
ভাড়া পড়বে 600 থেকে 1200 টাকার মধ্যে। রুম বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করুন এই নম্বরে ০১৮৪২৬০৫৭৮৮
হফং তং রিসোর্টঃ এটিও একটি বাজেট ফ্রেন্ডলি রিসোর্ট এই রিসোর্ট এর মধ্যে রুম আছে ছয়টি রুম ভাড়া পড়বে
১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে বুকিং করতে যোগাযোগ করুন এই নম্বরে ০১৮৬৯৬৪৯৮১৭
পাহাড়িকা রিসোর্টঃ বাজেট কম এর ভিতরে আরেকটি রিসোর্ট হচ্ছে পাহাড়িকা রিসোর্ট রিসোর্ট এর ভেতরের মোট ১২ টি রুম আছে
এটির রুম ভাড়া পড়বে এক হাজার থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত যোগাযোগ করুন এই নম্বরে। ০১৭২৪৬৫৮৭৬৬, ০১৮৭১৭৭১৭৭৭
আদিবাসী ঘরঃ আপনি স্টুডেন্ট হলে কম খরচে আদিবাসী ঘরে থাকতে পারেন খরচ পড়বে জনপ্রতি দেড়শ থেকে তিনশো টাকা পর্যন্ত
ফ্যামিলি নিয়ে থাকার জন্য আদিবাসী ঘর ভালো চয়েস হবে না তবে বন্ধুবান্ধব মিলে থাকতে চাইলে থাকা যায়
সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ খরচ
ভ্রমণের সময় সাজেক হোলিতে থাকা খাওয়ার জন্য খরচ একটু বেশিই হয় তাই নিজেরা গ্রুপ করে গেলে বা পিকনিকের জন্য গেলে খরচ কম হয়। তারপরেও সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের জন্য খরচ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া যাক। যাতায়াত জিপ ভাড়া ৮ থেকে ১১ হাজার টাকা। আপনি কি কি ঘুরবেন কোথায় কোথায় ঘুরবেন তার উপরে জীব ধারা ডিপেন্ড করে। খাবারের জন্য প্রতিবেলায় খরচ হবে জনপতি দেড়শ থেকে ২০০ টাকা করে। বিভিন্ন এন্ট্রি ফি পার্কিং ইত্যাদির ক্ষেত্রে খরচ পড়বে জন প্রতি দেড়শ টাকা।
আর গরে জোন প্রতি ৫০০ টাকা। একটি কথা মনে রাখতে হবে বর্ষাকালে সাজেকে খরচ কম হয়।
সাজেক ভ্যালি ভ্রমন টিপস
শুধু মাত্র রবি ও এয়ারটেলের নেটওয়ার্ক রয়েছে সাজেক ভ্যালিতে তাই রবি ও এয়ারটেল সিম সাথে রাখার চেষ্টা করুন।
সাজেকে বিদ্যুৎ নেই , সাজেকে সোলার ও জেনারেটরে পাওয়ার সাপ্লাই করে রিসোর্ট গুলোতে । তাই নিজের প্রয়োজনে পাওয়ার ব্যাংক সাথে রাখুন সাজেকে যাত্রা পথে জিপের ছাদে উঠবেন না।
এটি করতে আর্মিদের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাছাড়া পাহাড়ি পথে জিপের ছাদে উঠা খুবই বিপদজনক।
আদিবাসীদের সাথে ছবি তোলার ক্ষেএে তাদের অনুমতি নিতে ভুলবেন না। অনুমতি নেওয়া একটি ব্যাসিক ম্যানার। আর ব্যাসিক ম্যানার আপনার
বাক্তিবোধ কে রিপ্রেজেন্ট করে। আদিবাসী ও পাহাড়ীদের ধর্মের প্রতি ও কালচারের প্রতি যথা সম্ভব সম্মান দেখান । এমন কোন কাজ করবেন না যেটা
একটি খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এবং এমন কোন কথা বলবেন না যেটা অন্য কেউ আপনাকে বললে আপনারও খারাপ লাগতো।
যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না, এটা আপনার ব্যাক্তি বোধের পরিচায়ক। এটি শুধু পাহাড়ে নয়, এমনকি শহরেও।
অনেকেই ঝামেলা এড়ানোর জন্য ট্রাভেল এজেন্সির সাথে ভ্রমন করতে পছন্দ করেন। ট্রাভেল এজেন্সি সবচেয়ে ফিমেইল ফ্রেন্ডলি ট্যুর অর্গানাইজার গ্রিন বেল্ট এর সাজেক ট্যুর প্যাকেজটি দেখতে পারেন। এতে করে আপনার সাজেক ভ্যালি ভ্রমন খরচ কিছুটা বেশি হলেও ঝামেলাহীন ভাবে ভ্রমন করতে পারবেন এবং এটি আপনার জন্য অত্যধিক নিরাপদ হবে।