মাগফিরাতের ১০ দিন গুরুত্বপূর্ণ আমল রমজান হলো আত্মবিবেচনা, খোদাভীতি ও আত্মসংযমের মাস।
এই মাসের মূল উদ্দেশ্য হল মানুষকে তাদের জীবনকে খোদাভীতির নীতিতে পরিচালিত করতে উদ্বুদ্ধ করা।
ন্যায় ও শৃঙ্খলার আলোকে পরকালের কাছে নিজেকে সমর্পণ করা।
রমজান মাসের প্রথম দশ দিন রহমতের।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর অনুগত প্রিয় বান্দাদেরকে এই দশদিন রহমতের বর্ষণ করেন। ফলে এ সময়ে বান্দা বেশি বেশি নেক আমল করে তার সৃষ্টিকর্তার কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছে যায়।
আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ভালো কাজে প্রতিযোগিতা কর।’ (সূরা বাকারা: আয়াত: 148)।
রমজানের দ্বিতীয় দশ দিনে আল্লাহ বান্দাদের ক্ষমার বাণী দেন।
মাগফিরাতের ১০ দিন একটি হাদিসে মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, হে কল্যাণের অন্বেষণকারী, আল্লাহর কাজে এগিয়ে যাও। থাম, হে মন্দের সন্ধানকারী। (তিরমিযীঃ ৬৮২, ইবনে মাজাঃ ১৬৪২)।
রমজানের দ্বিতীয় দশ দিনে ক্ষমা পাওয়ার কিছু অভ্যাস রয়েছে। যারা বান্দাকে গুনাহ মাফের পথে নিয়ে যায় তারা হল:
বেশি বেশি করে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করুন- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কুরআন তেলাওয়াত সর্বোত্তম ইবাদত।
কোরআন তেলাওয়াত কর, কেননা কিয়ামতের দিন কোরআন তেলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে’ (সহীহ মুসলিম)।
ক্ষমা চাওয়া – ক্ষমা চাওয়ার জন্য আল্লাহর নির্দেশনা হল, ‘যে ব্যক্তি খারাপ কাজ করে বা নিজের প্রতি অন্যায় করে, সে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে; তিনি আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও পরম করুণাময় পাবেন।’ (সূরা নিসা: আয়াত 110)।
বেশি বেশি করে দোয়া করুন- নামাজ একটি উত্তম ইবাদত।
এই ইবাদত বান্দার কল্যাণ লাভে সাহায্য করে। গুনাহ মাফের জন্য দোয়া করলে আল্লাহ সেই দোয়া কবুল করবেন।
আল্লাহ বলেন, তুমি আমাকে ডাকো, আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব। (সূরা আল মুমিন : আয়াত ৬০)।
বেশি করে দান-খয়রাত করা এবং দান করা প্রায়শ্চিত্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পাপমুক্ত জীবনের জন্য দানের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা প্রকাশ্যে দান করলে উত্তম; আর যদি গোপনে তা করে দাও এবং অভাবগ্রস্তকে দান কর, তাও উত্তম। এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আপনার খারাপ কাজগুলো দূর করবেন। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত। (সূরা বাকারা: আয়াত: 271)।
আল্লাহ আমাদেরকে রমজানের দ্বিতীয় দশকে ক্ষমার জন্য বেশি বেশি নেক আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
আরো পড়ুন:- রোজা ভঙ্গের কারণ ও দলিল