সাদাকাতুল ফিতর কাকে বলে সাদাকাতুল ফিতর রমজান ও ঈদুল ফিতরের সাথে সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।
যাতে ধনী মুসলমানের পাশাপাশি দরিদ্র মুসলমানরাও ঈদের আনন্দে যোগ দিতে পারে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ফিতরা বা সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ করেছেন,
যা ঈদের নামাজের আগে পরিশোধ করতে হবে। এই দানকে যাকাতুল ফিতরও বলা হয়।
ঈদুল ফিতরের দিন সকালে যে ব্যক্তি সম্পদের পরিমাণ (সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রৌপ্য বা তার সমপরিমাণ নগদ ও ব্যবসায়িক জিনিসপত্রের) মালিক তাকে নিজের পক্ষ থেকে সাদাকাতুল ফিতর দিতে হবে।
তার নাবালক সন্তান। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সকল মুসলিম,
নারী-পুরুষ, নারী-পুরুষ, ক্রীতদাস ও স্বাধীন সকলের জন্য এক সা (3 কেজি, 270 গ্রাম) গমের সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা ফরজ করেছেন।
বা তারিখ। ঈদুল ফিতরের নামাযে যাওয়ার আগে তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। (সহীহ বুখারীঃ ১৫০৩)
ঈদুল ফিতরের দিন সূর্যোদয়ের সময় সাদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব।
তাই এ দিনে সূর্যোদয়ের আগে সন্তান জন্ম নিলে তার পক্ষ থেকে সাদাকাতুল ফিতর দেওয়া ওয়াজিব হবে,
এ দিনে সূর্যোদয়ের পর শিশুর জন্ম হলে তার পক্ষ থেকে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা আবশ্যক নয়।
স্ত্রী ও প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের উপর সাদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব নয় যদি তারা নেসাবের পরিমাণ সম্পদের মালিক না হয়,
তাদের পক্ষ থেকে সাদাকাতুল ফিতর দেওয়া ওয়াজিব নয়।
হাদিসে নবীজি (সা.) সাদাকাতুল ফিতর পাঁচটি খাদ্যদ্রব্যের যে কোনো একটির মাধ্যমে প্রদান করার অনুমতি দিয়েছেন – ভালো মানের খেজুর, মাঝারি মানের খেজুর, কিসমিস, পনির এবং গম।
তাদের মূল্য অনুযায়ী সাদাকাতুল ফিতরের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। এ বছর (১৪৪৫ হিজরি)
বাংলাদেশ সরকারের সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটি জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুনঃ–