চাকরি

ওমান ভিসার দাম কত? 2024

ওমান ভিসার দাম কত? আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ পূর্বকোনায় অবস্থিত মরুভূমির একটি দেশ হলো ওমান। ওমান দেশের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি মরুভূমি রয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে প্রায় প্রতিনিয়ত কমবেশি অসংখ্য মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে অথবা ভ্রমণকে উদ্দেশ্য করে ওমানে যাচ্ছে।

আগে ওমানে যেতে ভিসা খরচ যা লাগতো বর্তমানে ওমান যাওয়ার জন্য ভিসা খরচ আগের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

বর্তমানে আপনারা যারা ওমানে যাওয়ার জন্য ওমান ভিসার দাম জানতে চাচ্ছেন আমরা আমাদের এই পোস্টটিতে সঠিকভাবে বর্তমানে ওমান দেশের বিভিন্ন রকম ভিসার উল্লেখ করেছি।

ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী এর পরিমাণ কমবেশি হয়। কোম্পানি ভিসা, ফ্রি ওমান ভিসা  এবং ড্রাইভিং ভিসা সহ বিভিন্ন তথ্য জানতে আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

 ওমান ভিসার দাম কত

বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ ওমান যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের অসংখ্য লোকজন বিদেশ যাওয়া শুরু করেছে।

অনেকে রয়েছে যারা কাজের উদ্দেশ্যে ওয়ান যাওয়ার কথা ভাবে। ওমান যার প্রথমে আপনাকে খরচ সম্পর্কে যথাযথ ধারণা রাখতে হবে।

ভিসা প্রসেসিং অথবা দালালের মাধ্যমে যদি আপনি ওমান যেতে চান তাহলে প্রমাণ যার ভিসা করতে আপনার অনেক বেশি খরচ পড়বে।

আপনি যদি সরকারিভাবে যেতে পারেন তাহলে কম খরচের ভেতরে ওমান যেতে পারবেন।

স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যদি ওমান যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ২ লক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকার মত।

এবং যদি অন্য কাজের ভিসা বা এজেন্সির মাধ্যমে ওমান যেতে চান তাহলে আপনার খরচ লাগবে ৪ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

ওমান ফ্রি ভিসা

আপনি যদি ফ্রি ভিসার মাধ্যমে ওমানে যান তাহলে আপনি নিজের ইচ্ছার মত কোন কাজ করতে পারবেন না। ফ্রি ভিসা পাওয়াটা অনেকটাই কঠিন হয়ে থাকে।

আপনার যদি পরিচিত কোন কর্মকর্তা অথবা লোক থাকে তাহলে স্বল্প খরচের মধ্যে আপনি ফ্রি ভিসা সহজেই পেতে পারেন।

অথবা বাংলাদেশ থেকে কোন এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে ফ্রি ভিসা করতে চাইলে আপনার কমপক্ষে খরচ পড়বে ৪ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

যেখানে আপনার সরকারি ভাবে ভিসা পেতে গেলে আপনার খরচ পড়বে ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

আরো পড়ুন:- জার্মানিতে লোক নিয়োগ 2024 ফি ছাড়াই আবেদন

ওমান কোম্পানি ভিসা

প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ওমানের বিভিন্ন কোম্পানিতে শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে।

সরকারিভাবে কোম্পানির ভিসায় অথবা বেসরকারিভাবে দালালের মাধ্যমে কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে ওমানে যাওয়া যায়।

সরকারিভাবে যদি আপনি কোম্পানির ভিসা পান তাহলে খুবই অল্প খরচে আপনি ওমান যেতে পারবেন।

এবং অন্যভাবে কোন দালাল অথবা এজেন্সির মাধ্যমে আপনি ওমানের কোম্পানি ভিসা করতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে প্রায় চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা মতো।

এবং যদি সরকারিভাবে ওমান ভিসা পান তাহলে তখন আপনার খরচ পড়বে এক থেকে দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত তখন আপনি স্বল্প খরচে ওমান যেতে পারবেন।

 

ওমান ভিসার দাম কত 2024

ওমানে বেতন কত

ওমান দেশের বেতন নির্ধারণ করা হয় শ্রমিকের কাজের উপর ভিত্তি করে। আপনার কাজের গতি যদি ভালো থাকে এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি মাসে অনেকটাই বেশি টাকা বেতন পাবেন।

যারা নতুন অবস্থাতে ওমানে যাচ্ছে তাদের বেতন হয়ে থাকে ৩০ হাজার টাকা থেকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

এবং যারা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শ্রমিক এবং ভাল পদবীতে চাকরি করে তারা প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেয়ে থাকেন।

এবং যারা ওভারটাইম করে তাদের বেতন আরও বেশি হয়ে থাকে।

 ওমান ড্রাইভিং ভিসা এবং বেতন কত

বর্তমান সময়ের মধ্যে ওমানের ড্রাইভিং ভিসার চাহিদা অনেকটাই বেশি। কারণ বর্তমানে ওমানে গিয়ে ড্রাইভিং করলে ভালো টাকার বেতন সহজেই পেতে পারেন।

এ কারণেই বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ আছে যারা ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে ওমানে যেতে চাই যাতে সহজেই ভালো টাকার বেতন পেতে পারে।

বর্তমান সময়ের মধ্যে ড্রাইভিং ভিসার মাধ্যমে ওমানে যেতে চাইলে সবমিলিয়ে আপনার খরচ পড়বে ৩ লক্ষ থেকে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

এবং নতুন অবস্থায় ওমানে গিয়ে ড্রাইভিং করে বেতন পাবেন ২৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

এবং যখন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়ে যাবেন তখন সেখান থেকে আরো বেশি পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।

 ২০২৪ সালে ওমান জেতে কত টাকা লাগবে

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ওমান যেতে চান তাহলে আপনার খরচ অনেক বেশি হবে।

কারণ বাংলাদেশে দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা পেতে অনেক টাকা খরচ  হয়ে থাকে।

প্রথমে আপনি যে ভিসায় যেতে চান তা নির্বাচন করতে হবে। কারণ ভিসা অনুযায়ী টাকা কমবেশি হয়।

বর্তমানে ওমানে যেতে হলে সর্বনিম্ন ২ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৭ লাখ টাকা  পর্যন্ত লাগবে।

 ওমানে যেতে আপনার যা যা প্রয়োজন হবে

ওমান যেতে হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকতে হবে। কারণ সঠিক তথ্য যাচাই না করে আপনি কখনই ভিসা পেতে পারবেন না।

আপনি যদি কোনও দালাল বা সংস্থার মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় নথির কপি জমা দিতে হবে।

দেখুন কি কি ডকুমেন্ট লাগতে পারে।

  1. আপনার পাসপোর্ট ছয় মাসের জন্য বৈধ।
  2. দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
  3. আপনার 18 বছর সম্পূর্ণ NID কার্ড বা জন্ম শংসাপত্রের ফটোকপি।
  4. আপনার পিতামাতার এন আইডি কার্ডের ফটোকপি।
  5. ভিসা আবেদনপত্র।
  6. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
  7. ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট দিতে হবে।
  8. করোনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট।

এই কাগজ গুলি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে আপনার কাছে রাখতে হবে এগুলি আপনার ওই দেশে যাওয়ার পরে কম বেশি সময় প্রয়োজন হবে।

সর্বশেষ আরেকটি কথা

যেকোনো দেশের ভিসা নেওয়ার সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

কারণ দেশের কিছু অসাধু এজেন্সি আপনাকে এক ধরনের ভিসা  দেখিয়ে অন্য ধরনের ভিসা দিতে পারে।

আজকের পোস্টে ওমান যেতে কত খরচ হয় বা ওমানের ভিসার খরচ কত তা জানানোর চেষ্টা করেছি।

আশা করি আপনি ইতিমধ্যেই জানেন যে ওমান যেতে কত খরচ হতে পারে বা আপনার কাজের ধরণের উপর নির্ভর করে ভিসার জন্য কত খরচ হয়।

সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ.

Related posts
চাকরি

কাতারে যেতে কত টাকা লাগে

কাতারে যেতে কত টাকা লাগে কোন ভিসার কত…
Read more
চাকরিভ্রমণ

রোমানিয়া ভিসা আবেদন এবং ভিসার প্রকারভেদ

রোমানিয়া ভিসা আবেদন রোমানিয়াতে…
Read more
চাকরি

ইতালি ভিসা খরচ ইতালি যেতে কত টাকা লাগে? বেতন কত?

ইতালি পশ্চিম ইউরোপের একটি উন্নত দেশ।…
Read more
Newsletter
Become a Trendsetter
Sign up for Davenport’s Daily Digest and get the best of Davenport, tailored for you.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *