অভিযানের খবর পেয়ে ফল ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায় রমজানে নোয়াখালীতে বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে ভোক্তা সুরক্ষা অধিদপ্তর অভিযান চালায়।
তবে অভিযানের খবর পেয়ে বাজারের অধিকাংশ ফল ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়।
শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাউছার মিয়া।
মূল্য তালিকা না থাকা, তালিকা হালনাগাদ না করা এবং অতিরিক্ত দামে ফল বিক্রির অপরাধে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম স্থিতিশীল রাখতে রমজানে বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে মাইজদী পৌর মার্কেটে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
মূল্য তালিকা না থাকা, তালিকা হালনাগাদ না করা এবং আপেল, কমলা, খেজুর, আঙ্গুর অতিরিক্ত দামে বিক্রি করায় বাহার ফল বিতানকে তিন হাজার টাকা,
ইসমাইল ফ্রুট বিটানকে দুই হাজার টাকা এবং পূর্ণিমা এন্টারপ্রাইজকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে ভোক্তা অধিকার অভিযানের কথা শুনে বাজারের বেশির ভাগ ফল ও তরমুজ ব্যবসায়ী তাদের দোকানপাট ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি পাইকারি ও পাইকারি বিক্রেতাদের প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালানো হোক।
খুচরা বিক্রেতারা কম দামে কিনতে পারলে কম দামে বিক্রি করতে পারে। তারা বলেন, বড় বড় সিন্ডিকেট ভেঙ্গে এ অভিযান দিয়ে বাজারে স্বস্তি আনা সম্ভব নয়।
মাইজদী পৌর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ জুলফিকার জাগো নিউজকে বলেন,
দীর্ঘদিন পর অভিযানের কারণে ফল ব্যবসায়ীরা দোকানপাট ছেড়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করার জন্য তাদের বোঝানো হবে।
আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে সমস্ত ব্যবসায়ীকে ব্যবসায়িক মূল্য তালিকা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাউছার মিয়া জাগো নিউজকে বলেন,
অভিযানে তিন ফল বিক্রেতার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের জরিমানা করা হয়েছে।
একই সঙ্গে অন্য ব্যবসায়ীদেরও সতর্ক করা হয়েছে। পলাতক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে
অভিযানে সহযোগিতা করেন জেলা স্যানিটারি অফিসার শওকত আলী ও সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ- স্বর্ণের দামে রেকর্ড, ভরি ছাড়াল ১ লাখ ১২ হাজার টাকা